দক্ষিনঞ্চলে হেমন্তের শরুতেই শীতের একটু একটু আমেজ দেখা যাচ্ছে। শীত আসতে এখনও বাকি। ক‘দিন থেকে রাত ও ভোরে শীতের আগমনীবার্তা টের পাওয়া যাচ্ছে দক্ষিন আঞ্চলে ভোরে পড়ছে হালকা কুয়াশা। শেষ রাতে বরিশালবাসীর শরীরে উঠছে মোটা লেপ ও কাঁথা। পরিবারের বাক্সবন্দি করে রাখা লেপ-তোষক বের করছে ঠিক করার জন্য। আবার কেউ নতুনভাবে তৈরি করছেন। তাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন দক্ষিন আঞ্চলের ধুনকররা। বরিশাল জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ধুনকররা তৈরি করেছেন লেপ-তোষক। বিশেষ করে ৪/৫ দিন থেকে ভোর হওয়ার সাথে সাথেই ধুনকররা তুলা, কাপড় ও ধুনার নিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন। কেউ সাইকেলে, কেউ বা ভ্যানে আবার কেউ পায়ে হেঁটে ঘুরছেন বরিশাল নগরীসহ আশে পাশে এলাকা গুলোতে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একটি বাড়িতে লেপ বা তোষক তৈরি করলেও অর্ডার নিচ্ছেন পরের দিনের। ধুনকরের টুং টাং আওয়াজ আর বাতাসে উড়ে বেড়ানো তুলা জানিয়ে দিচ্ছে শীত আসছে। ফলে দক্ষিন আঞ্চলের লেপ-তোষক তৈরির দোকানগুলোতেও কারিগর কাজ ব্যাস্ত সময় পাড় করেছেন। পাড়ায়-মহল্লার পাশাপাশি দোকানেও কাজ চলছে পুরোদমে। বরিশালের ধুনকর ফিরোজ জানান, এক সপ্তাহ আগেও তেমন কাজ-কর্ম ছিল না। কিন্তু ৪/৫ দিন
ধরে ভোরের হালকা কুয়াশায় শীতের আমেজ একটু বিরাজ করছে। এতেই লেপ তৈরির অর্ডার শুরু হয়েছে। দোকানে আসার পর আজই ১১ টি অর্ডার মিলেছে বলে জানান তিনি। অপর ধুনকর আলী বলেন, এখন কেবল শীতে একটু প্রবাহ শুরু। আর কয়েকদিন পর রাত-দিন সমানতালেই কাজ করতে হবে আমাদের। বর্তমানে পুরনো লেপ ভেঙে নতুনভাবে তৈরির অর্ডারই বেশি পাওয়া যাচ্ছে। সেই সঙ্গে গার্মেন্টসের তুলা দিয়ে তৈরি লেপও বিক্রি হচ্ছে। যার বিক্রি মূল্য সিঙ্গেল ৬‘শ টাকা, আর ডাবল লেপ হাজার টাকারও বেশি । এ ছাড়া ভালো তুলা দিয়ে নুতনভাবে একটি সিঙ্গেল লেপ তৈরি করতে খরচ পড়ছে ১ হাজার টাকা, আর ডাবল লেপ তৈরিতে খরচ হচ্ছে ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা। আর সিঙ্গেল তোষক ৫’শ ৫০ টাকা এবং ডাবল ৯শ টাকায় তৈরি হচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার লেপ তোষকে ১শ থেকে ২শ টাকা বেশি লাগছে। কারণ কাপড় ও তুলার দাম বেড়েছে। এছাড়া বর্তমান বাজার মূল্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কারিগরদের মজুরিও বেড়েছে। এরপরও শীত নিবারণের জন্য মানুষ আগে থেকেই অর্ডার দিচ্ছে বলে তিনি জানান।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply